কাবাঘর ভাঙলেই যাওয়া যায় পরের স্টেজে, ভিডিও গেমস নিয়ে সতর্কতা

 

কাবাঘর ভাঙলেই যাওয়া যায় পরের স্টেজে, ভিডিও গেমস নিয়ে সতর্কতা

কাবাঘর ভাঙলেই যাওয়া যায় পরের স্টেজে, ভিডিও গেমস নিয়ে সতর্কতা
গেমপ্লেতে যেভাবে দেখানো হয়েছে কাবাঘরকে

ভিডিও গেমসে পবিত্র কাবা শরীফ ধ্বংসের টাস্ক। অর্থাৎ কাবা শরীফ ধ্বংস করলেই যাওয়া যাবে পরবর্তী স্টেজে। গেমটি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে মিশরের রাজধানী কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইলেকট্রনিক ফতওয়া বুধবার এক বিবৃতিতে এই সতর্কতা জানায়। ফোর্টনাইট নামের এই গেমটিতে গেমারকে এক পর্যায়ে পরের ধাপে যেতে হলে কাবা ঘর ধ্বংস করতে হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এর আগে সেন্টার ফর ইলেকট্রনিক ফতওয়া কিছু ইলেকট্রনিক গেমের বিরুদ্ধে সতর্কতা জানিয়েছিল। ওই গেমগুলোতে তরুণরা মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছিল। যা তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান বা কাজের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে বাস্তবতা থেকে দূরে এক কল্পনার জগতে আটকে রাখে। পাশাপাশি তাদের ঘৃণা এবং নিজেদের বা অন্যদের ক্ষতি করার দিকে উৎসাহিত করে।

বিবৃতিতে ফোর্টনাইট গেমে পরের ধাপে যেতে কাবা ধ্বংস করার বিষয় উল্লেখ করে আরও বলা হয়, এটি তরুণদের বিশ্বাস, আত্মসম্মান ও তাদের পবিত্র স্থানের গুরুত্ব অনুধাবনে প্রভাবিত করবে। আর এ কারণেই সহিংসতায় উস্কানি দেয়া এবং বিশ্বাসকে বিকৃত করা মিথ্যা ধারণাযুক্ত সকল ইলেকট্রনিক গেমস নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

প্রসঙ্গত, ফোর্টনাইট গেমটি তৈরি করেছে আমেরিকার সফটওয়্যার ও ভিডিও গেমস কোম্পানি ‘এপিক গেমস’। ২০১৭ সালে প্রকাশ পায় ফোর্টনাইট গেমটি। সার্ভাইভাল অর্থাৎ যুদ্ধ করে টিকে থাকাই এই গেমসের ধরণ। গেমসটি তিনটি ভিন্ন মোডে খেলা যায়। প্রথমটি হলো- ফোর্টনাইট : সেভ দ্যা ওয়ার্ল্ড, যা একটি কো-ওপারেটিভ শুটার সার্ভাইভাল গেম। এখানে জোম্বির মত প্রাণিদের মোকাবেলা করতে হয়। দ্বিতীয়টি হলো- ফোর্টনাইট ব্যাটল রয়েল, যেখানে ১০০ জন খেলোয়াড় নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করেন এবং যে প্লেয়ার সবার শেষে বেচে থাকেন তিনিই বিজয়ী হন। শেষটি হলো- ফোর্টনাইট ক্রিয়েটিভ, যেখানে প্লেয়ারদের নিজেদের নিজস্ব মোড আর এরিনা বানিয়ে খেলতে পারেন।

সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর

টিএস


Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post